ঢাবিতে আন্তর্জাতিক শাস্ত্রীয় নৃত্য উৎসবে মনোমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশনঢাকা


sohel Rana প্রকাশের সময় : জুলাই ২১, ২০২৩, ১০:০২ পূর্বাহ্ন /
ঢাবিতে আন্তর্জাতিক শাস্ত্রীয় নৃত্য উৎসবে মনোমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশনঢাকা

ঢাবিতে আন্তর্জাতিক শাস্ত্রীয়
নৃত্য উৎসবে মনোমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশনঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের উদ্যোগে ‘১ম আন্তর্জাতিক শাস্ত্রীয় নৃত্য উৎসব
২০২৩’ আজ ২০ জুলাই ২০২৩ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে উদযাপিত হয়েছে।

এতে দর্শকদের সামনে মনোমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশন করেন দেশী ও বিদেশী নৃত্য শিল্পীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এসময় উপাচার্য নৃত্যকলা বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত ‘প্রয়াস’
শিরোনামে একটি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন।

নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারপার্সন মনিরা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মাননীয়
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাই-কমিশনার প্রণয় ভার্মা, বিশেষ অতিথি ছিলেন
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির এবং নৃত্যকলা বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

আরো বক্তব্য রাখেন ভারতের কথক নৃত্যের বিশিষ্ট নৃত্যগুরু ও
নৃত্যশিল্পী শ্রী সন্দীপ মল্লিক, মনিপুরী নৃত্যের প্রখ্যাত নৃত্যগুরু ও নৃত্যশিল্পী শ্রীমতি বিম্বাবতী
দেবী এবং ভারতনাট্যম নৃত্যগুরু শ্রী উত্তীয় বড়ুয়া।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, “নৃত্যকলা
হচ্ছে বাঙালি সংস্কৃতির একটি অন্যতম উপাদান। এই বিভাগ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড,
মুক্তচিন্তা, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধ চর্চ্চার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলছে। মানুষের মাঝে যখনই সদ্ভাব ও বিনয়ের প্রকাশ ঘটে তখনই সুন্দর সমাজ গঠন হয়।

এই ধরনের
আয়োজন সুন্দর সমাজ গঠনের প্রচেষ্টা”। নৃত্যসহ সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত
হয়ে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে আরো সমৃদ্ধ করার জন্য বিভাগীয় শিক্ষক-শিক্ষার্র্থীদের প্রতি
উপাচার্য আহবান জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে উদ্বোধনী নৃত্য, প্রদীপ প্রজ্বলন ও নৃত্যকলা বিভাগের তথ্যচিত্র প্রদর্শন
করা হয়।
উল্লেখ্য, নৃত্যকলা বিভাগের ৯বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রথমবারের মতো গত ১২-১৯ জুলাই
২০২৩ ৮-দিনব্যাপী শাস্ত্রীয় নৃত্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় নৃত্যকলা বিভাগের ৭৬
জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এই কর্মশালা পরিচালনা করেন ভারতের শ্রী সুবীর ঠাকুর, শ্রী
সুনন্দ মুখোপাধ্যায়, শ্রী অরিন্দম ভট্টাচার্য, শ্রী সন্দীপ মল্লিক, শ্রীমতি বিম্বাবতী দেবী
এবং শ্রী উত্তীয় বড়ুয়া।