ইনডেমনিটি অধ্যাদেশঃ বাংলার ইতিহাসে এক কলঙ্কিত অধ্যায়


sohel Rana প্রকাশের সময় : জুলাই ১০, ২০২৩, ২:৩১ অপরাহ্ন / ১৬
ইনডেমনিটি অধ্যাদেশঃ বাংলার ইতিহাসে এক কলঙ্কিত অধ্যায়

বিশেষ প্রতিবেদকঃ ইনডেমনেটির মতো ঘৃণ্য একটি অধ্যাদেশ খন্দকার মুশতাক আহমদের মাধ্যমে জারি হলেও এর দায় মূলত জিয়াউর রহমানের। মোশতাকের জারি করা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশটি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বৈধতা দেয়া না হলে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল সামরিক আইন প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গেই ১৫ আগস্টের খুনিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া যেত। জিয়াউর রহমানই ব্যবস্থা নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি ব্যবস্থা নেয়া দূরে থাক, ভবিষ্যতে কেউ যাতে ব্যবস্থা না নিতে পারে সে ব্যবস্থা করে দিলেন এবং ঐ সময়ে একটি প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে গেল যে, যেহেতু এটি সংবিধানের অংশ হয়ে গেছে, কাজেই এটি আর পরিবর্তন করা যাবে না।

আমাদের ইতিহাসে কিছু সন-তারিখ আছে, যা অত্যন্ত গৌরব, আনন্দ বা মহত্তম অর্জনের। যেমন ১৬ ডিসেম্বর, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ। আবার কিছু সন-তারিখ আছে, যা আমাদের জন্য কলঙ্ক ও লজ্জার। যেমন ১৫ আগস্ট। ৯ জুলাইও তেমন একটি কলঙ্কের দিন। ১৯৭৯ সালের এই দিনে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান সংবিধানকে কলুষিত করেন। তিনি পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে মোশতাকের জারি করা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের পাকাপোক্তভাবে দায়মুক্তির ব্যবস্থা করেন। ইতিহাসে এই দিনটি নিঃসন্দেহে একটি কালো দিবস হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

বাংলাদেশের রাজনীতির সবচেয়ে কলঙ্কিত অধ্যায় হচ্ছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। এদিন জাতীয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর প্রায় দেড় দশক দেশে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সামরিক শাসন চলে। পৃথিবীর কোনো সংবিধানে লেখা নেই যে, খুনিদের বিচার করা যাবে না। অথচ বাংলাদেশে তা ঘটেছিল। যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত লজ্জাজনক কালো অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল।