স্বৈরাচার ও উগ্রবাদীদের হিংস্র থাবার মধ্যেও যেভাবে অব্যাহত রয়েছে বাংলাদেশের গণতন্ত্র


sohel Rana প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৭, ২০২৩, ১:৩১ অপরাহ্ন / ১৬
স্বৈরাচার ও উগ্রবাদীদের হিংস্র থাবার মধ্যেও যেভাবে অব্যাহত রয়েছে বাংলাদেশের গণতন্ত্র

আজকের সূর্যোদয় রিপোর্টঃ ২০১৩-১৪ সালে দেশজুড়ে ভয়াবহ নাশকতার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত করে বিএনপি-জামায়াতঃ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দেশের অভ্যন্তরে ট্রাইবুনাল গঠন করা হয় ২০১৩ সালে। এর পরেই মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার বন্ধ করার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে ১৫ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে বিএনপি-জামায়াত। ২০১৩ সালে জামায়াত-শিবিরের রাজনৈতিক সহিংসতার ৪১৯টি প্রধান ঘটনায় ৪৯২ জন মানুষ প্রাণ হারান এবং ২২০০ জন আহত হন।

এদিকে টানা পাঁচ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নমুখী রাজনীতির কারণে গণমানুষ সরকারকে পুননির্বাচিত করবে বলে পূর্বাভাস দেয় আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থাগুলো। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে বিএনপির সন্ত্রাসের কারণেও মানুষ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। ফলে ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সাল থেকেই দেশজুড়ে নাশকতার মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করে ভোটের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বিএনপি-জামায়াত জোট। দেশজুড়ে অগ্নিসন্ত্রাস চালাতে এবার তাদের সঙ্গী হয় উগ্রবাদী ধর্মব্যবসায়ীদের সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। এমনকি নির্বাচন বানচালে ব্যর্থ হয়ে লন্ডনে পলাতক বিএনপি নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। যদিও ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত দেশব্যাপী ৫০০০ এর বেশি স্থানীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে, কোথাও কোনো আপত্তিকর অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তারপরেও শুধু পরাজয় বুঝতে পেরে ভোট বাতিলের জন্য নির্বাচন বয়কট করে বিএনপি-জামায়াত।

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতায় ২০ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হন ২০১৪ সালজুড়ে। সহিংসতার সময় রাস্তার পাশে থাকা হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এছাড়া, ছোট দোকান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতেও আগুন দেয়। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা ও গির্জা ভাঙচুর এবং পবিত্র কুরআনের শত শত কপি জ্বালিয়ে দেয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন, একজন প্রিসাইডিং অফিসারসহ মোট ২৬ জনকে হত্যা করে এবং সারাদেশে ৫৮২টি স্কুলে ভোটকেন্দ্রে আগুন লাগায় বিএনপি-জামায়াতপন্থীরা।

বিএনপি ভোট বয়কট করলেও দেশের সাধারণ মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করায়, জনসাধারণের ওপর ক্ষুব্ধ হয় বিএনপি-জামায়াত নেতারা। এরপর গণমানুষের চলাচলের জন্য গণপরিবহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে গণহত্যা শুরু করে তারা। এমনকি ঘুমন্ত মানুষের বাড়িতে আগুন দিতেও দ্বিধা করেনি এই সন্ত্রাসীরা।

২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক বছর পূর্তির দিন আবারও জ্বালাও-পোড়াও শুরু করে বিএনপি-জামায়াত জোট। এসময় চলন্ত বাসে ও মানুষের বাড়িতে পেট্রোল বোমা ছুড়ে ২৩১ জন সাধারণ মানুষকে হত্যা করে তারা। অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হন আরো ১ হাজার ১শ’ ৮০ জন কর্মজীবী মানুষ। সেসময় ২,৯০৩টি গাড়ি, ১৮টি রেলগাড়ি এবং ৮টি যাত্রীবাহী জাহাজে আগুন দেয় বিএনপি-জামায়াত। এই সন্ত্রাসীদের ভাঙচুর এবং আগুনে পুড়ে ৬টি ভূমি অফিসসহ ৭০টি সরকারি কার্যালয়ের অবকাঠামো এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র ধ্বংস হয়ে যায়।