সিদ্ধিরগঞ্জে বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার


sohel Rana প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১৮, ২০২৪, ৩:৩০ অপরাহ্ন /
সিদ্ধিরগঞ্জে বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার

সিদ্ধিরগঞ্জে বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মো: আবুল কালাম (৬২) ও তার স্ত্রী আমেনা বেগম ময়না (৫৭) নামের বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় পাইনাদী মিজমিজি রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিন পাশে সৌদী প্রবাসী আবুল কালাম আজাদের ভাড়াটিয়া বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

লক্ষীপুর জেলার রামগতি থানার বালুরচর গ্রামের খলিল মুন্সীর ছেলে মৃত মো; আবুল কালাম ও তার স্ত্রী আরব আলী শেখ এর মেয়ে আমেনা বেগম ময়না। তারা দীর্ঘদিন ধরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকায় ভাড়া থাকেন। তাদের দুই ছেলে রয়েছেন।

খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো: তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) এস.এম জহিরুল ইসলাম ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আল মামুনসহ পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

বাড়ির লোকজন জানায়, শুক্রবার বেলা ২টায় তাদের সারা শব্দ না পেয়ে দরজা খোলা থাকায় ঘরের ভেতের মো: আবুল কালাম ও তার স্ত্রী আমেনা বেগম ময়নার শোয়া অবস্থায় দেখতে পান। তাদের ডাকা-ডাকি করলেও কোন সারা শব্দ পাওয়া যাচ্ছিলোনা। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করার ব্যবস্থা করেন।

বাড়িওয়ালার স্ত্রী রোকেয়া বেগম বলেন, তারা স্বামী-স্ত্রী গত এক বছর ধরে তাদের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিল। তার দুই ছেলে বিয়ে করে অন্যত্র বসবাস করে।

বড় ছেলে মো: মানিক বলেন, তার মা ক্যান্সারের রোগী ছিলেন। বাবাও ডাবায়েটিসসহ বিভিন্ন রোগী আক্রান্ত ছিলেন। তার ধারণা একজনের মৃত্যু দেখে আরেকজন স্টোক করে মারা গেছেন।

পাশের বাড়ীর এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, মৃতরা উভয় দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন রোগে অসুস্থ ছিলেন। তাদের দুই ছেলে সন্তান আছে। ওরা দুজন গাড়ি চালক। তারা মা-বাবাকে রেখে আলাদা বসবাস করেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো: তরিকুল ইসলাম বলেন, স্বামী-স্ত্রীর এক সঙ্গে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সিআইডি’র ক্রাইম সিনকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা আসলে লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।