গাইবান্ধা সংবাদদাতাঃ গাইবান্ধায় প্রসূতি ও তার অনাগত সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় আর্থিক লাভের আশায় মিথ্যা ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুৃষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে প্রেসক্লাব গাইবান্ধা কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের ফলিমারি গ্রামের নিহত স্বর্ণা বেগমের বাবা সুজাল খান ও তার পরিবার। এসময় লিখিত বক্তব্য সুজাল খানের পক্ষে পাঠ করেন
সংবাদ সম্মলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, গত ২৩ মার্চ সুজাল খানের মেয়ে স্বর্ণা বেগমের প্রসববেদনা হলে সকাল ১০ টার দিকে পরামর্শের জন্য তাদের আত্মীয় পলাশবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারী নার্স আমেনা বেগম ঝর্ণার পলাশবাড়ি উপজেলার সুইগ্রামের বাসায় নেওয়া হয়। নার্স আমেনা বেগম প্রসূতির অবস্থা অনুধাবন করে পরদিন সন্তান প্রসব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে, ওই দিনেই হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু প্রসূতির পরিবার নার্স আমেনা বেগমের আত্মীয় হওয়ার সুবাদে ওই দিন তারা প্রসূতিসহ স্বপরিবারে আমেনা বেগমের পলাশবাড়ীর ওই বাড়িতে অবস্থান করেন। এদিন ভোর রাতেই স্বর্ণার প্রসব বেদনা হয় এবং নার্স আমেনা বেগমের সহায়তায় সে মৃত সন্তান প্রসব করে। প্রসূতি স্বর্ণা মৃত সন্তান প্রসবের পরেই অস্বাভাবিক পাতলা পায়খনা এবং একই সাথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে থাকলে তাকে চিকিৎিসার জন্য পরদিন (২৪ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে স্বর্ণা চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন সকাল সোয়া ১১টার দিকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে।
লিখিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ করা হয়, আমি সজ্ঞানে আপনাদের জানাতে চাই-আমার মেয়ে স্বর্ণা বেগম এবং তার অনাগত সন্তানের মৃত্যুর পিছনে কারো হাত নেই বা পলাশবাড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারী নার্স আমেনা খাতুনের কোনো দায় ছিলনা। কেননা, ইতোপূর্বে নার্স আমেনা বেগম তার ওই বাসায় একাধিক গরীব প্রসূতির স্বাভাবিক সন্তান প্রসব করিয়েছেন। অথচ পলাশবাড়ির কিছু অপ সাংবাদিক এবং অপর একটি মহল ঘটনার পর থেকেই আমাদের জিম্মি করে আর্থিক ফায়দা লুটতে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তাদের পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে সাংবাদিকদের মাধ্যমে গাইবান্ধার পুলিশ প্রশাসনসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত স্বর্ণার বাবা সুজাল ও তার মা সহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন এবং প্রেসক্লাব গাইবান্ধার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :