নারায়ণগঞ্জ । শুক্রবার
২৪শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সস্তাপুরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মাদক-সন্ত্রাসীরা

ফতুল্লার সস্তাপুর ঈদগাহ মাঠ সহ আশপাশের এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে একদল মাদক সন্ত্রাসী। প্রশাসনের সোর্স পরিচয় দিয়ে এলাকায় কায়েম করেছে ত্রাসের রাজত্ব। মাদক ব্যবসা তো বটেই, এমনকি ছিনতাই, ব্ল্যাকমেইল, মুক্তিপন আদায় সহ নানা অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে নির্বিঘ্নে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তো দূরের কথা মুখ খুললেও অনেকের ঘারে নেমে আসে নির্যাতনের খরগ।


বলা হচ্ছে সস্তাপুর এলাকার চিহ্নিত মাদক সন্ত্রাসী ও পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত বড় ইমন, ফর্মা আলামিন ও বল্লা ইমন, শামীম, রশিদ ও ইব্রাহিম গংয়ের কথা। তাদের শেল্টারে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে একদল কিশোরগ্যাং ও সন্ত্রাসী বাহিনী। মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত নানা অপকর্ম পরিচালনায় এই কিশোরগ্যাং বাহিনী পরিচালনা করছে ইমন ও তার সহযোগিরা।


এছাড়াও এলাকায় ছিনতাই থেকে শুরু করে হেন কর্মকাণ্ড নেই যা তাদের এই গ্রুপের দ্বারা সংঘঠিত হয়নি। বড় ইমন, সোর্স আলামিন ও বল্লা ইমনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একাধিক মামলা ও অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বে তারা একাধিক বার গ্রেফতারও হয়েছে। তবে জামিনে বেড়িয়ে পূনরায় মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে অন্যান্য অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে।


এদিকে, কয়েক মাস পূর্বে সহিদ বেপারী নামে এক ব্যক্তিকে কাঠেরপুল এলাকা থেকে তুলে সস্তাপুর ঈদগাহ মাঠের পিছনে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে বেধর মারধর করে সন্ত্রাসী রশিদ ও ইমন। এসময় তারা সহিদ বেপারীর কাছ থেকে নগদ ৯ হাজার টাকা, একটি স্যামসাং কোম্পানীর স্মার্ট ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে মুক্তিপন বাবদ মোবাইলে বিকাশের মাধ্যমে আরও ৪০ হাজার টাকা আনিয়ে সহিদ বেপারীকে হত্যা কিংবা মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়। ওই ঘটনায় পরবর্তীতে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগে দায়ের করেন ভুক্তভোগী সহিদ বেপারী।


এছাড়াও সম্প্রতি এলাকায় আরও একটি মারামারির ঘটনার সূত্রপাত ঘটায় এই ইমন, ফর্মা আলামিন ও বল্লা ইমন, শামীম, রশিদ ও ইব্রাহিম গং। এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। উপরন্ত চতুর ইমন গং আদালতে মিথ্যা অভিযোগের আশ্রয়ে মামলা দায়ের করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার মিশনে নেমেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভুক্তভোগী জানান, তারা সম্প্রতি এলাকায় একটি মারামারির ঘটনা ঘটিয়েছে। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছিলো। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পরও তদন্ত কর্মকর্তা মামলা গ্রহণ না করে এলাকায় মিমাংসা করার জন্য বলেন। কিন্তু বিবাদী পক্ষ এলাকায় বিচার শালিসী মানতে নারাজ। তারা তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকি দিয়ে আসছে। পরবর্তীতে তারা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশের সোর্স হওয়ায় তারা নানা ভাবে সুযোগ নিচ্ছে।


এই বিষয়ে জানতে চাইলে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশের সোর্স বলে কেউ পার পাবে এমনটা ভাবার সুযোগ নেই। যে অপরাধী সে অপরাধী হিসেবেই চিহ্নিত হবে। অপরাধীর আলাদা কোনো পরিচয় নেই।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >