স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনে নতুন করে সীমানা বিন্যাস হওয়ায় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশিদের অধিকাংশ নেতাই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে এর বিপরিতে যারা আছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম একজন মাশুকুল ইসলাম রাজীব। সীমানা বিন্যাস হলেও তাতে যেন চিন্তিত নন জেলা বিএনপির এই যুগ্ম আহবায়ক। উল্টো মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অনেকের জন্য তিনি নিজেই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে গুঞ্জন চলছে। উদীয়মান এই তরুণ নেতার অনুসারীরা নারায়ণগঞ্জ-৪ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫; উভয় আসন থেকেই ব্যাপক ভাবে উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে প্রচার-প্রচারনা চালাচ্ছেন। এতে বিএনপি অঙ্গণে দুই দিকেই বিরাজ করছে ‘রাজীব ইফেক্ট’!
জানা গেছে, তফসিল ঘোষণা না হলেও নারায়ণগঞ্জে বাজতে শুরু করেছে নির্বাচনী ডামাডোল। পাঁচটি আসনের নতুন করে সীমানা নির্ধারণের পর বিএনপি অঙ্গণ ও সাধারণ মানুষের মুখে মুখে এখন নির্বাচন কেন্দ্রীক আলোচনা চলছে। বিশেষ করে কোন আসনে কে পেতে পারে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন; কিংবা নবীন? নাকি প্রবীন? কেমন প্রার্থী বেছে নিবে বিএনপির হাইকমান্ড? এমন প্রশ্নের পাশাপাশি নানা মত-দ্বিমত ভেসে আসছে দলীয় কর্মী, সাধারণ সমর্থক এমনকি ভোটারদের মাঝ থেকেও। গতানুগতিক রাজনৈতিক কালচারের পরিবর্তন যেমন সময়ের দাবি, তেমনই নতুন দিনের সূচনা করতে নবীনদের হাতে নেতৃত্ব তথা জনপ্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব তুলে দেয়ার বিকল্প নেই বলে মনে করেন সচেতন মহল।
এদিকে, বিএনপির নীতিনির্ধারক এবং পরামর্শক পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গরাও বলছেন, যোগ্যতা, স্বচ্ছতা, জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা ও দলীয় ত্যাগ-তিতিক্ষা বিবেচনায় নবীন-প্রবীণের মিশেলে আগামীর নেতৃত্ব বেছে নেয়া হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিবেচনায় উদীয়মান সম্ভাবনাময়ী নেতাদের মধ্যে আলোচনার অন্যতম স্থানে উঠে এসেছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব। যিনি নারায়ণগঞ্জ চার ও পাঁচ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রবীনদের জন্য ইতিমধ্যেই বড় ইফেক্ট হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
তথ্য বলছে, ছাত্রদলের রাজনীতি ও নেতৃত্ব দেয়ার সময়কাল থেকেই নিজেকে পৃথক ভাবে মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন সময়ের আলোচিত এই বিএনপি নেতা। ভিপি রাজীব হিসেবে অধিক পরিচিত এই নেতাকে রাজপথের পরীক্ষিত হিসেবে স্বীকার করেন তার বিরোধী বলয়ের লোকেরাও। বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রাম থেকে শুরু করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে রাজীব তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করেছেন। বর্তমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে আসার পর রাজীব কেবল ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ কিংবা মহানগর বন্দরই নয় বরং তার বিচরণ ছড়িয়েছেন সেই সোনারগা কিংবা রূপগঞ্জ আড়াইহাজারেও। নারায়ণগঞ্জ-৪ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে রাজীবের ব্যাপক কর্মী সমর্থক রয়েছে। রয়েছে জনপ্রিয়তা এবং জনসম্পৃক্ততাও। ফলে সম্ভাবনাময়ী এই উদীয়মান তরুণ নেতাকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সমানতালে আলোচনা ও গুঞ্জন চলছে।
বিশ্লেষকদের মতে, মাশুকুল ইসলাম রাজীব তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ছন্দে আছেন। তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক বা সামাজিক কর্মকাণ্ড গুলোতে মধ্যমনি হয়ে থাকছেন। অনেকে ক্ষেত্রে প্রধান অতিথির চেয়ারও থাকছে রাজীবের বরাদ্দে। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, সদর, সিদ্ধিরগঞ্জ বন্দরেও নিজস্ব বলয়, কর্মী বাহিনী, সমর্থক ও প্রভাবশালী অবস্থান গড়ে উঠেছে তার। তাই আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের খেলায় অন্যমত ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছেন এই উদীয়মান নেতা।
নির্বাচনের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাশুকুল ইসলাম রাজীব বলেন, ‘আমি আমার নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এর সকল নির্দেশনা মেনে এবং তাকে অনুসরণ-অনুকরণ করে রাজনীতি করে যাচ্ছি। এই পথচলায় যেমন নির্যাতিত নিপীড়িত হয়েছি, তেমনই, আমার অসংখ্য নেতাকর্মী এবং শুভাকাঙ্খি তৈরী হয়েছে। তারা হয়তো আমাকে নিয়ে নানা স্বপ্ন দেখতে পারে। এটা নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনেও আছে এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনেও আছে। কর্মী সমর্থকরা আমাকে নিয়ে যেই স্বপ্ন দেখছে, আমি সেটাকে সম্মান করি। পাশাপাশি আমি মনে করি, আমার নেতা জনাব তারেক রহমান একজন বিজ্ঞ এবং বিচক্ষণ নেতা। তিনি দল, দেশ ও মানুষের প্রয়োজনে তার কোন কর্মীটাকে কখন কোথায় কোন ভূমিকায় রাখবেন, সেটা তিনি সবচেয়ে ভালো জানেন। আমি আমার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আমাকে যখন যেখানে প্রয়োজন মনে করবেন, আমি সেখান থেকেই তার আস্থা এবং বিশ্বাসের প্রতিদান দিব ইনশাআল্লাহ।’








