নারায়ণগঞ্জ । বুধবার
৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গৃহবধূর বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর মালিবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে সুরভী আক্তার মাহফুজা (২১) নামে এক গৃহবধূর বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে মালিবাগ বকশিবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে তার স্বামী আশিক মোল্লা।

শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহসিন তালুকদার সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, সোমবার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় মরদেহটি একটি প্লাস্টিকের বস্তায় মুখ বাধা অবস্থায় ছিল।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, মরদেহের থুতনিতে, গলায়, বুক ও পিঠে লালচে জখমের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলে কাটা দাগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রোববার দিবাগত রাত ১টা থেকে সোমবার দুপুর ১টার মধ্যে যেকোনো সময় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী আশিক মোল্লা তাকে হত্যা করে থাকতে পারে।

এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিহতের বড় ভাই হৃদয় খান জানান, তাদের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার জয়নগর গ্রামে। বাবার নাম নুরুল হক খান। ৬ বছর আগে সুরভীর বিয়ে হয় আশিক মোল্লার সঙ্গে। আশিক মোল্লা ঢাকার কেরানীগঞ্জে একটি টেইলার্সে কাজ করত। সেখানে সুরভীও কাজ করত। মেহেদি হাসান নামে চার বছরে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে তাদের।

তিনি আরও জানান, ২ বছর আগেও স্ত্রীকে ব্যাপক মারধর করেছিল আশিক।ডিভোর্স এর কথা উঠলেও শেষ অবধি তার সাথেই থেকে যায় আমার বোন।এরপর থেকে পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখেনি সুরভী। সোমবার দুপুরে পুলিশের মাধ্যমে তারা খবর পান। এরপর গ্রাম থেকে ঢাকায় এসে মালিবাগের ওই বাসায় এসে সুরভীর বস্তাবন্দী মরদেহ দেখতে পান। এর আগে সুরভী ও আশিক কেরানীগঞ্জে ছিল। চলতি মাসের ১ তারিখে আশিক মালিবাগের ওই বাসায় ভাড়া ওঠে। যেদিন ভাড়া উঠেছিল সেদিনই রাতে তাদের একমাত্র ছেলেকে তার দাদা দাদীর কাছে পাঠিয়ে দেয়। এরপর সুরভীকে হত্যার পরিকল্পনা করে আশিক। পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে বালিশ চাপা দিয়ে অথবা কোন কিছু খাইয়ে তাকে হত্যার পর বস্তাবন্দী করে মরদেহ রেখে সে পালিয়ে গেছে। আমরা পরিবারের সবাই এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >