নারায়ণগঞ্জ । শুক্রবার
২৪শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জোবায়েদ হত্যায়
বর্ষাসহ ৩ আসামির দোষ স্বীকার

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার তার ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষাসহ তিনজন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। একইসঙ্গে আসামিদের বন্ধু প্রীতম চন্দ্র দাস সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন। আজ (মঙ্গলবার) ঢাকার পৃথক চারটি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। দোষ স্বীকার করা অন্য আসামিরা হলেন— বর্ষার প্রেমিক মো. মাহির রহমান ও মাহিরের বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়লান।

এদিন তিন আসামি ও এক সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক মো. আশরাফ হোসেন তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়ার আদালত আসামি বর্ষার, আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত বর্ষার প্রেমিক মো. মাহির রহমানের এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার আদালত মাহিরের বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়লানের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এ ছাড়া ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুজ্জামানের আদালতে প্রীতম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন। পরে তাকে পরিবারের হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে আজ সকাল ১০টার দিকে জোবায়েদের ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত বাদী হয়ে রাজধানীর বংশাল থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে বর্ষাসহ তিন জনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা হিসাবে ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, মো. জোবায়েদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করাতেন। প্রতিদিনের মতো তিনি ১৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বংশাল থানাধীন ৩১নং ওয়ার্ডে নুর বক্স লেন এর ১৫ নং হোল্ডিং রৌশান ভিলায় পড়ানোর জন্য যান। একই তারিখে সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে ওই ছাত্রী জোবায়েদ হোসেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই সৈকতকে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে জানায় যে, জোবায়েদ স্যার খুন হয়ে গেছে, কে বা কারা জোবায়েদ স্যারকে খুন করে ফেলছে। এ বিষয়টি ওইদিন সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. কামরুল হাসান জোবায়েদের ভাই এনায়েত হোসেনকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানান। পরে এনায়েত তার শ্যালক শরীফ মোহাম্মদকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থল রৌশান ভিলায় পৌঁছান। ওই ভবনের নিচতলা থেকে ওপরে ওঠার সময় তিনি সিঁড়ি এবং দেয়ালে রক্তের দাগ দেখতে পান। ওই ভবনের ৩য় তলার রুমের পূর্ব পার্শ্বে সিঁড়িতে গেলে সিঁড়ির ওপর জোবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উপুড় অবস্থায় দেখতে পান। পরে ময়নাতদন্ত শেষে গত ২০ অক্টোবর জোবায়েদকে কুমিল্লার কৃষ্ণপুর গ্রামে দাফন করা হয়। অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামিরা জোবায়েদকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার ডান পাশে আঘাত করে হত্যা করেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >