আগে দুই কন্যা সন্তানের পর আবারও কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ায় মাত্র পাঁচদিন বয়সী নবজাতককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। সোমাবার (২০ অক্টোবর) সাতক্ষীরার কলারায়ো উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নবজাতক হত্যার অভিযোগে তার মাকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
নবজাতক হত্যার অভিযোগে আটক সেই মায়ের নাম শারমিন খাতুন (৩২)। সে কলারোয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের স্ত্রী।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাইফুল ইসলাম জানান, সোমবার রাত ৯টার দিকে শিশুটির পিতা ইব্রাহিম খলিল থানায় এসে সন্তান নিখোঁজ হয়েছে মর্মে সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজ ডায়েরি এন্ট্রি করার কারণ হিসেবে ইব্রাহিম জানান, তাদের মেয়েকে নিয়ে মা শারমিন বিকেলে ঘুমিয়ে ছিলো এরপর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছেনা।ওসি আরও জানান, ইব্রাহিম খলিলের ডায়েরি গ্রহণ করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নবজাতকের মা শারমিনের কথা অসংলগ্ন মনে হলে পুলিশ তাকে আরো জেরা করতে থাকেন। পরবর্তীতে তিনি স্বীকার করেন, ৫বছর ও দেড় বছর বয়সী তাদের দুই কন্যা শিশু থাকা সত্বেও তৃতীয় কন্যা শিশু জন্ম হওয়ায় তাকে বাড়ির পাশের একটি খালে ছুড়ে ফেলেছেন। এরপর শারমিনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী খালের কচুরিপনার মধ্য থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এঘটনায় শিশুর দাদি খাদিজা খাতুন বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। শিশুর মা শারমিনকে গ্রেপ্তারের পর আজ মঙ্গলবার সাতক্ষীরা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং শিশুটির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।