নারায়ণগঞ্জ । শুক্রবার
২৪শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবশেষে অসহায় বৃদ্ধা ফজিলাতুন্নেছার পাশে দাড়ালেন মানবিক ডিসি জাহিদুল ইসলাম

বিগত কয়েকদিন যাবত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসহায় শতবর্ষী বৃদ্ধা ফজিলাতুন্নেছার একাকী জীবন সংগ্রাম নিয়ে আলোচনা ভাইরাল হয়।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা সংগ্রামী এই বৃদ্ধার ব্যাপারে জানতে পেরে সরজমিনে গিয়ে খাদ্য ও অর্থ সহায়তা দেন।

অশিতিপর বৃদ্ধা ফজিলাতুন্নেছা থাকেন নগরীর দেওভোগ পাক্কারোড (খানকা গলি) এলাকায়, ৩০০ টাকা ভাড়ার বাসায় আছে শুধু থাকার জন্য একটি চকি ও কিছু ছেড়া কাপড় চোপড়। ছেলে সন্তান ও স্বামী অনেক আগেই তাকে ছেড়ে চলে গেছে,বেচে থাকার জন্য তিনি নগরীর চুনকা পাঠাগারের পাশে যুগের পর যুগ আমড়া,পেয়ার,কামরাংগা,জাম্মুরা বিক্রয় করে কোনরকমে জীবন চালাচ্ছেন তবুও কারও কাছে এক পয়সার হাত পাতেন না।

সহায়তা প্রদানকালে জেলা প্রশাসক বলেন, “শতবর্ষী ফজিলাতুন্নেছা বয়সের বাঁধা অতিক্রম করেও আত্মসম্মান ধরে রেখেছেন। কারও কাছে হাত না পেতে নিজের জীবিকা নিজেই অর্জন করছেন এটি সবার জন্য অনুসরণীয়।” তিনি ফজিলাতুন্নেছার সংগ্রামী মানসিকতার প্রশংসা করেন।

ডিসি আরও জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে ফজিলাতুন্নেছার বয়স্ক ভাতার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। পাশাপাশি তার মতো সংগ্রামী মানুষদের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনা হবে।

উপহার সামগ্রী পেয়ে আবেগাপ্লুত ফজিলাতুন্নেছা বলেন, “যতদিন বেঁচে আছি, কারও কাছে হাত পেতে কিছু নেবো না। ভিক্ষা নয়, কর্ম করেই জীবন চালাবো।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আলমগীর হুসাইন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) নাইমা ইসলাম, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আসাদুজ্জামান সরদার, শহর কার্যালয়ের অফিসার এ কে এম সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >