নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেছেন, “গ্রীন অ্যান্ড ক্লিন কর্মসূচির আওতায় আমরা পরিবহন ব্যবস্থাকে একটি সবুজ ছাতার নিচে আনার চেষ্টা করছি। আমাদের প্রশাসনের যে ড্রাইভার আছে, তাদের নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। ফলে তাদের চাপ নিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। এজন্য আমরা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছি, যাতে চাপমুক্ত থেকে গাড়ি চালাতে পারে। যারা গাড়ি চালান, গাড়ি হচ্ছে তাদের জীবিকার মূল উৎস। আমরা গাড়ি চালাচ্ছি গাড়ির টাইমওভার হয়ে গিয়েছে কিনা সেটা খেয়াল করতে হবে। আপনারা যেমন শরীরের উপর যত্ন নিবেন ঠিক তেমনি গাড়ির উপর যত্ন নিতে হবে।”
‘গ্রীন অ্যান্ড ক্লিন’ কর্মসূচির আওতায় সড়কে যাত্রীদের নিরাপত্তা, যানজট নিরসন ও সার্বিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে পেশাদার গাড়িচালকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রবিবার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ’র যৌথ উদ্যোগে খানপুরে অবস্থিত বিআরটিএ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিলুফা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ-র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) মো. মাহবুবুর রহমান এবং মোটরযান পরিদর্শক মো. সাইফুল কবীরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আমাদের এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান। এই জেলায় যত ড্রাইভার ও হেল্পার আছে তাদের সবাইকে আমরা প্রশিক্ষণ দিবো। অনেক সময় দেখা যায়, সচেতনতার অভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করতে হলেও তার সময় পার হয়ে যায়।”
তিনি বলেন, “কার ড্রাইভিং লাইসেন্স কতদিন মেয়াদ আছে? তার শারীরিক অবস্থা কি? আমরা সে বিষয়গুলোর একটা ডাটাবেজ তৈরি করছি। ভবিষ্যতে যারা ডাটাবেজের আওতায় আসবেন তাদের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গ্রহণ করতে পারি কিনা সেটিও আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে আমরা কিভাবে পরিবহন ব্যবস্থাকে নিরাপদ করতে পারি। আমরা যদি নিজেরা সচেতন হই তাহলে আরেকজনকে সচেতন করতে পারবো। বাস ড্রাইভার যারা আছে তাদেরকে এক ধরনের পোশাক দিচ্ছি, সরকারি ড্রাইভার যারা আছে তাদেরকে আরেক ধরনের পোশাক দিচ্ছি। আমি মনে করি এতে আত্মবিশ্বাস ও পরিচয় বহন করবে।”
এ কর্মশালায় ৩০ জন পেশাদার চালক অংশ নেন। পাশাপাশি ডাটাবেজ তৈরি ও নতুন পোশাক বিতরণ কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।








