আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ তালিকা ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তবে এ তালিকায় দলটির বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট ও সিনিয়র নেতার নাম না থাকায় রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় জায়গা পাননি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম।
এছাড়া দলটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী সোহেল ও সদ্য মনোনীত যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবীরের নামও বাদ পড়েছে তালিকা থেকে। আলোচনায় থাকা আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা—মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আমিনুর রশীদ ইয়াসিন এবং ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন—কেও পাওয়া যায়নি সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে।
একাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আলোচিত মুখ রুমিন ফারহানাকেও বাদ দেওয়া হয়েছে এই তালিকা থেকে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি এবার ‘এক পরিবার থেকে একজন প্রার্থী’ নীতিতে অটল থাকছে। সেই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়েছে মনোনয়ন তালিকায়ও। এ কারণে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের স্ত্রী হাসিনা আহমদ, মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর স্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদকেও রাখা হয়নি সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে।
দলীয় নীতিমালা ও নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দিতে চায় বিএনপি এমন ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে দলের অভ্যন্তর থেকে। তবে হেভিওয়েট নেতাদের বাদ পড়া নিয়ে বিএনপির ভেতরেই নানা আলোচনা ও বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে।
