টানা সাত দিন ধরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনে মুখর। বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা অনশন-অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের ঘোষণা—দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কোনো অবস্থাতেই শহিদ মিনার ছাড়বেন না। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে তারা কালো পতাকা মিছিলের মধ্য দিয়ে সরকারের ‘অবহেলার প্রতিবাদ’ জানাবেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী জানান, “গত ১০ অক্টোবর রাত থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলন এখন অনশনে রূপ নিয়েছে। প্রাথমিক স্তরের চার লাখ শিক্ষক আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। ডাকসুর ভিপিসহ অসংখ্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী সংহতি জানিয়েছেন। আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ—ন্যায্য দাবি আদায় না করে এই স্থান ত্যাগ করব না।”

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টার ‘অসৌজন্যমূলক আচরণ’ ও প্রজ্ঞাপন জারিতে বিলম্বে আন্দোলনকারীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে তারা পূর্ণ অনশন শুরু করেছেন। শনিবারের কালো পতাকা মিছিলের মাধ্যমে সরকারের প্রতি তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করা হবে।
এর আগে গত রোববার (১২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচির সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনার পর সোমবার থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করেন শিক্ষকরা।
এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে ৫ শতাংশ বাড়ি ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি—২০ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধি, চিকিৎসা ভাতা ১,৫০০ টাকা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশে উন্নীত করা। এই প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।






