নারায়ণগঞ্জ । শনিবার
২৫শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৯ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক মাস আগেও ডন আমাকে হুমকি দিয়েছে : নীলা চৌধুরী

সালমান শাহের মৃত্যুকে দীর্ঘদিন ধরে আত্মহত্যা বললেও গত সোমবার ২৯ বছর পরে হত্যা মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সেই মামলায় এগারো জনকে আসামি রয়েছে এবং তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে রমনা থানা পুলিশ।

দীর্ঘ এই সময় ধরে ছেলে হত্যার বিচার চাওয়া সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী যেন এবার একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন, তিনি ন্যায় বিচার পেতে যাচ্ছেন।গণমাধ্যমে  দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লন্ডন থেকে নীলা চৌধুরী বলেন, ‘এই ২৯ বছর কিছু মানুষ আমাকে খারাপ বলেছে। আমার ছেলেকে খারাপ বলেছে। আমার জন্য ছেলে মারা গেছেন, সেটাও শুনতে হয়েছে আমাকে। লালনপালন করে বড় করে আমি নাকি আমার ছেলেকেই মেরেছি, এটাও আমাকে শুনতে হয়েছে।

আমাকেই দায়ী করেছে সামিরা, আজিজ, ডনরা। কিন্তু ২৯ বছর ধরে আমার বিশ্বাস ছিল, আইনে একদিন প্রমাণ হবে এটা খুন। আদালত যেভাবে সোমবার ঘটনাটা উপস্থাপন করেছেন, সেখান থেকে আমাকে যেভাবে সান্ত্বনা দেওয়া হয়েছে; সেটা আমাকে মানসিকভাবে শান্তি দিয়েছে।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে একটা ভরসার জায়গা তৈরি হলো।মামলার কার্যক্রম এত দ্রুত হয়ে যাবে ভাবিনি। এ জন্য শুকরিয়া। অনুভূতি আর কী বলব। আমার সমস্ত শরীর–মন খালি খালি মনে হচ্ছে। ফাঁকা ফাঁকা মনে হচ্ছে।ছেলেকে মার্ডার করা হয়েছে, মামলা হচ্ছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে অবশেষে ন্যায়বিচার পাব—এটাই ভালো লাগার কথা।’ ‘আমার কাছে মনে হয়েছে ন্যায়বিচার পাচ্ছি। প্রত্যাশা আছে বলেই, ইনশা আল্লাহ ভবিষ্যতে ন্যায়বিচার পাব। এত দিন যারা এত কথা বলেছে, আমাকে হুমকি দিয়েছে, তাদের বিচার হতেই হবে।’

এরমধ্যে নীলা চৌধুরী এও জানান, অভিনেতা ডন তাকে হুমকি দিয়েছে। প্রসঙ্গ তুলে তিনি বললেন, ‘এই এক মাস আগেও ডন আমাকে হুমকি দিয়েছে। প্রেসক্লাবের সামনে যেতে বলেছে। চিন্তা করা যায়, যে আমার ছেলের পিছে পিছে ঘুরত। সাহস পেত না আমাদের সঙ্গে কথা বলার। সেই ডন কত বড় ব্যাকআপ থাকলে আমাকে হুমকি দিতে পারে।’

কোনো আলামত দেখে মনে হয়েছিল খুন? এমন প্রশ্নে নীলা চৌধুরী বলেন, ‘খুনের চিহ্ন আর আত্মহত্যার চিহ্ন আলাদা। সেটা তার শরীরেও ছিল। এটা খুন, বোঝাই যাচ্ছিল। প্রমাণও ছিল। সামিরার ঘনিষ্ঠরা পরে তো বলেই দিল কীভাবে খুন করেছে। এটা পরিকল্পিত খুন। সামিরা চিটাগং থেকে লোক এনেছে। এরাই অন্যদের সঙ্গে মিলে ইমনকে খুন করেছে। ওই বিল্ডিংয়ের অনেক ফ্ল্যাট ছিল আজিজ মোহাম্মদের ভাড়া করা। সেখানে তার লোকজন থাকত। ২৯ বছর ধরেই আমি বলে আসছি, আমার ছেলে আত্মহত্যা করার মতো ছেলে নয়।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >