আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নারায়ণগঞ্জে এককভাবে অংশ নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। নভেম্বর এর মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই আসনগুলোতে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, “সমঝোতা বা জোট,রাজনৈতিক বা আদর্শিক জায়গা থেকে হতে পারে। যদি সেরকম কোন সম্ভাবনা তৈরি হয়, যেমন জুলাই সনদের বিষয়টা আছে।“জুলাই সনদে সংস্কার দাবিগুলোর সঙ্গে যদি কোনো দল ঐক্যবদ্ধ বা সংহতি প্রকাশ করে, সেক্ষেত্রে আমরা জোটের বিষয়টা হয়তো বিবেচনা করবো। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত এককভাবেই আগাচ্ছি।”আমরা স্পষ্ট ভাবেই বলছি আমরা একক ভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ৩০০ আসনেই আমাদের প্রার্থী দেয়া লক্ষ্য। যারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অগ্রনী ভুমিকা পালন করেছে তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা কোন কোন স্থানে প্রার্থী দেব না, যেমনটা বেগম খালেদা জিয়ার আসনের কথা উঠেছে।
নাহিদ আরো বলেন, সর্বাধিক আসনেই আমরা প্রার্থী দিব। আমরা দেখি যাদের টাকা আছে, যাদের গডফাদারগিরি আছে, তারা নির্বাচনে দাঁড়ায়। আমরা এই সংস্কৃতিকে চ্যালেঞ্জ করতে চাই। আমরা গ্রহণযোগ্য মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ, শিক্ষক, ইমাম, সামাজিক নেতৃবৃন্দদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদে দেখতে চাই।সমঝোতা বা জোটের বিষয়টি আদর্শিক স্থান থেকে হতে পারে। জুলাই সনদে আমাদের যেই সংস্কারের দাবীগুলো রয়েছে, সেই দাবীর সাথে কোন দল যদি সংহতি প্রকাশ করে, তখন আমরা জোটের বিষয়টি চিন্তা করবো। এই মাসের ১৫ তারিখের মধ্যেই আমরা প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করবো।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১২ টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হওয়া গাজী সালাহউদ্দিনের মৃত্যুর খবরে পরিবারের সাথে সাক্ষাত শেষে তিনি এসব বলেন। এসময় গাজী সালাহউদ্দিনের পরিবারের পাশে থাকারও ঘোষণা দেন তিনি।
এ সময় তিনি আরও যুক্ত করেন, হাজারো জুলাই যোদ্ধা আহত অবস্থায় কাতরাচ্ছে। আহতদের সুচিকিৎসার দায়িত্ব ছিলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। তারা সেটা করতে পারেনি বিধায় আমাদের শহীদের সংখ্যা বাড়ছে। সরকারের প্রতি বলতে চাই, আমাদের আহত ভাই বোনদের সর্বাত্মক সহযোগীতা এবং চিকিৎসা যেন তারা করেন।অনেকেরই দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা প্রয়োজন। সেটা না হলে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকবে। নির্বাচনী ডামাডোলে যেন আমাদের আহত, শহীদ পরিবারের কথা যেন ভুলে না যাই। পরবর্তী নির্বাচিত সরকার যেই আসুক, তাদের যেন এই আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে কমিটমেন্ট থাকে। গাজী সালাহউদ্দিনের পরিবারের পাশে আমরা আছি। তাদের পরিবারের দায়িত্ব যেন রাষ্ট্র নেয় সেই দাবী জানাবো।উনি মারা যাবার কয়েকদিন আগেই স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীদের দ্বারা হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন। এমন বিভিন্ন এলাকায় জুলাই যোদ্ধাদের উপর রাজনৈতিক চাপ রয়েছে। আমরা তাদের পাশে আছি। কিন্তু সরকারকেও দায়িত্ব নিতে হবে। তাদের লড়াইয়ের ফলেই আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি।

বক্তব্য শেষে নাহিদ ইসলাম গাজী সালাউদ্দিনের কবর জিয়ারত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ও শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আবদুল্লাহ আল আমিন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব তামিম আহমেদ, কেন্দ্রীয় সংগঠক শওকত আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদুর রহমান তনু, জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ সভাপতি তুহিন খান প্রমুখ






