কেন্দ্রীয় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও ও সিদ্ধিরগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ হওয়ার আগে থেকেই তিনি এই অঞ্চলগুলোতে বিএনপির সাংগঠনিক কাজ করছেন। তিনি দাবি করেন, সোনারগাঁও বিএনপির ঘাঁটি এবং এখানকার মানুষ বিএনপিকে অত্যন্ত পছন্দ করে, যা বিগত সময়ে প্রমাণিত হয়েছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির বর্ধিত সভা এবং নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যশী নেতৃবৃন্দের পরিচিতি ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পাড়ের মানুষদের উদ্দেশ করে করা এক মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে গিয়াসউদ্দিন বলেন, “কোন নেতা যদি বলে থাকেন শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পাড়ের সন্ত্রাসী, এরজন্য মনে কষ্ট পাওয়ার কোনো কারণ নাই। যিনি বলেছেন তিনি ছোট হয়েছেন।
তার ভদ্রতা কথায় তিনি শিষ্টাচারের প্রমাণ দিয়েছেন। তার কথায় তো আর আমরা শীতলক্ষ্যা পশ্চিম পারের মানুষ সন্ত্রাসী হয়ে যাইনি। আমরা এর স্বাধীনভাবে উত্তর দিয়েছি।”
সম্প্রতি অন্য এক নেতার মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “গতকাল বলা হয়েছে, সোনারগাঁয়ের মানুষ যদি সোনারগাঁয়ের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা না করে তাহলে সোনারগাঁয়ে ভোটার থেকে সিদ্ধিরগঞ্জে ভোটার কম। তিনি বুঝাতে চেয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জে ভোটার সংখ্যা কম, যদি সোনারগাঁয়ের মানুষ কোনো প্রার্থীকে ভোট দেয় তাহলে বিজয় সুনিশ্চিত। সেটা বিএনপি প্রার্থী হোক বা স্বতন্ত্র প্রার্থী। এগুলা বলে উনি নিজেকে নিজে ছোট করেছে।”
আন্দোলন সংগ্রামে সহযোগিতা করায় সোনারগাঁওয়ের নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকশ করে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, “আপনারা যারাই যার হয়ে কাজ করছেন করতে থাকেন। আমার পক্ষে বা আমার কাছে আসা লাগবে না। যখন দল থেকে প্রার্থী চূড়ান্ত হয়ে যাবে তখন আপনাদের আমাকে লাগবে না আমি নিজেই চলে আসব।”
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন আবুলের পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম,এ,হালিম জুয়েল, সহ-সভাপতি জি,এম,সাদরিল, মোস্তফা কামাল, রওশন আলী, সেলিম মাহমুদ, ডি,এইচ,বাবুল, এ্যাডঃ মাসুদুজ্জামান মন্টু, যুগ্ম-সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীন, কামরুল হাসান শরীফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ডাঃ মাসুদ করিম, শ্রম-বিষয়ক সম্পাদক মোশারফ হোসেন, গণ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন সিকদার, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আলী, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি তৈয়ব হোসেন, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফ হোসেন, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুর রহমান বাদল, সাধারণ সম্পাদক জামান মির্জা, ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আনিস সিকদার, সাধারণ সম্পাদক জামাল প্রধান, যুবদল নেতা মাহাবুব হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি একে হিরা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন রনিসহ আরো অনেকে।







