ফতুল্লার শিয়াচরে বিএনপি নেতা অলিউল্লাহ খোকন মাস্টারের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। তবে এর সত্যতা কী? সেই প্রশ্নও উঠেছে খোকন মাস্টারের অনুসারীদের মাঝে। পক্ষে-বিপক্ষে এমন আলোচনা ও গুঞ্জনের মাঝেই এবার এই বিষয়ে কথা বলেছেন সেই বিএনপি নেতা। উদ্দেশ্য মূলক ভাবে তাকে চাঁদাবাজীর অপবাদ দেয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অলিউল্লাহ খোকন মাস্টার সময় নারায়ণগঞ্জ’কে বলেন, ‘গত কোরবানীর ঈদের আগে এলাকার একটি খাল পরিস্কারের জন্য স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগণ উদ্যোগ গ্রহণ করে। ফলে প্রতিটি বাড়ি ওয়ালার কাছ থেকে নির্ধারিত টাকা ধার্য্য করা হয়। যা দিয়ে খালটি পরিস্কারে ভেকু এবং ড্রাম ট্রাক ভাড়া সহ শ্রমিকদের পারিশ্রমিক পরিশোধ করা যায়। সেই সুবাধে আরিফ নামে ওই ব্যক্তির কাছ থেকেও খাল পরিস্কারের জন্য ডোনেশন চাওয়া হয়েছিল। সে ২ হাজার টাকা দিয়েছিল। তার প্রমাণ স্বরুপ ফেসবুক আইডির ম্যাসেঞ্জারে কথোপকথনের স্ক্রীন শট রয়েছে। এর বাহিরে তার কাছে কোনো প্রকার টাকা চাওয়া হয়নি।’

অলিউল্লাহ খোকন মাস্টার আরও বলেন, গত ৯ অক্টোবর সেহাচর বুড়ির গ্যারেজ এলাকার বাসিন্দারা আক্কাস আলী ও নূর মোহাম্মদ এর ছোট বোন ফরিদা আক্তার এর কাছ থেকে আরিফ একটি জমির বায়না করে দেয়। ওই জায়গাটি সে অন্যত্র বিক্রির জন্য বায়না করলেও জায়গাটিতে চলাচলের জন্য পূর্বের নির্ধারিত কোনো এজমালি রাস্তা নেই। ফরিদার বাড়ির রাস্তা দেখিয়ে সে জমি বিক্রির কার্যক্রম চালায় করে। এলাকার বাসিন্দা হিসেবে বিষয়টি আমাকে জানানো হলে আমি গত ৯ তারিখে আরিফকে ফোন করি এবং রাস্তা না থাক সত্বেও আরেক জনের বাড়ির রাস্তা দেখিয়ে জমি বিক্রির বিষয়টি জানতে চাই। এতে করে তার সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। সে আমার সাথে অশোভন আচরণ করে। পরে আমি ফরিদাকে খোকন ফোন করলে ফরিদা জানায় যে, ওই জমির জন্য নির্দিষ্ট কোনো রাস্তা নেই। আরিফ যেই রাস্তা দেখিয়ে জমি বিক্রি করছে, সেটি ফরিদার বাড়ির রাস্তা। সেই কথা কাটাকাটির রেশ থেকেই হয়তো আরিফ শত্রুতা বশতঃ চাঁদাবাজীর মত মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। আর আরিফ আওয়ামী লীগ করে এটা সত্য। আমি স্থানীয় বিএনপির দায়িত্বশীল পদে আছি। হয়তো আমাকে চাঁদাবাজীর অভিযোগ তুলে প্রক্ষান্তরে পরিকল্পিত ভাবে বিএনপিকে কলুষিত করতে চাইছে।’
উল্লেখ্য, চাঁদাবাজীর অভিযোগ তুলে কুতুবপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ালিউল্লাহ খোকন ওরফে খোকন মাস্টারের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আরিফ নামে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা। চাঁদা না দিলে প্রাণ ভয়সহ মিথ্যা মামলায় জড়ানো হবে বলে হুমকি দেয়ার অভিযোগও উল্লেখ করা হয় থানায় দায়েরকৃত সেই অভিযোগ পত্রে। বিষয়টি প্রকাশ পেলে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়। যদিও এই অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করলেন বিএনপি নেতা অলিউল্লাহ খোকন মাস্টার।







