ফতুল্লার রেলষ্টেশন ও দাপা এলাকার অন্যতম মাদক সম্রাট টুটুলের সহযোদ্ধা জাভেদকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছেন র্যাব। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাভেদকে গ্রেফতার হয়। এ সময় তার কাছে থাকা ৪০পিস ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব।পরে ফতুল্লা থানা পুলিশের কাছে জাভেদকে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে যুবসমাজ ধ্বংসের মহানায়ক মাদক সম্রাট টুটুলকে গ্রেফতার না করায় পুলিশ ও মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের প্রতি ক্ষোভ জাড়লেন স্থানীয়রা।মাদক সম্রাট টুটুলের আপন মামা টিকি মরা লিটনের হাত ধরেই মাদকের জগতে প্রবেশ হয়েছে টুটুলের। এলাকাতে মামা-ভাগিনার মাদকের স্পটগুলো নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে। আর এ মামা-ভাগিনাকে শেল্টারের পেছনে রয়েছে টিকি মরা লিটনের আরেক ভাগিনা যিনি একজন রাজনীতিবিদ। স্থানীয়দের মতে,সেই রাজনীতিবিদ ভাগিনার কারনেই মাদক সম্রাট হয়েও এখনও অধরা মামা টিকি মরা লিটন আর খালাতো ভাই টুটুল।
স্থানীয়দের সুত্রে জানা যায়, মাদক সম্রাট টুটুলের ইয়াবা রাজ্যের অন্যতম সেনাপতি হলেন জাভেদ। এক কথায় “গুরু-শিষ্য”।বিভিন্ন স্পটে টুটুলের ইয়াবা ডেলিভারী দেয়ার পাশাপাশি নিজেও ইয়াবা বিক্রি করেন জাভেদ। ধরাকে সরাজ্ঞান করে পুলিশ ও সোর্সকে মাসোহারা আর রাজনীতিবিদ ও বিশেষ ব্যক্তিদের সাপোর্ট নিয়ে প্রকাশ্যেই মাদক বিক্রি করছেন টুটুলগং। আর এ মাদক বিক্রি করাতে বেশ কয়েকজন সেলসম্যান রেখেছেন টাকার বিনিময়ে। বিভিন্ন সময়ে টুটুলের সেলসম্যানরা গ্রেফতার হলেও আড়ালে থাকে টুটুলের মুখটি। আর মুখোশের মাধ্যমে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ টাকা মাদক বিক্রি করছেন এ টুটুল।
স্থানীয়রা আরও জানান, বৃহস্পতিবারে র্যাবের অভিযানে গুরু টুটুলের শিষ্য জাভেদ গ্রেফতার হলেও এলাকাতে প্রকাশ্যেই রয়েছে গুরু টুটুল। চলছে তার প্রতিটি মাদক স্পট। টিকি মরা লিটন ও টুটুলগংরা কি এভাবেই অধরা রয়ে যাবে সবসময় ? চুনোপুটি ধরে তো আর মাদক নির্মুল করা সম্ভব না। ধরতে হবে টুটুলের মত রাঘববোয়ালকে। তাহলে হয়তবা মাদককে নিয়ন্ত্রন আনা কিছুটা হলেও সম্ভব। আমরা চাই মাদক বিক্রি ও তাদেরকে যারা শেল্টার দিচ্ছে তাদের সকলকে আইনের আওতায় আনা হোক।






