নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ার গোলচত্বর এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরেই আল-জয়নাল ট্রেড সেন্টার এবং সান্ত্বনা মার্কেট এর সামনের সড়ক এবং ড্রেন গুলোতে রহস্যজনকভাবে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে বুদবুদ উঠতে দেখা যাচ্ছে। স্থানীয়দের ধারণা, এটি গ্যাস লিকের কারণে ঘটছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,সড়কের ফাটল এ বেশ কয়েক জায়গা থেকেই বুদবুদ বের হচ্ছে পাশাপাশি রাস্তার পাশে ড্রেন এ জমে থাকা পানিতেও এমন তীব্র বুদবুদ লক্ষ্যনীয় মাত্রায় রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃষ্টির পানি জমে থাকা ওই স্থান থেকে ক্রমাগত গ্যাসের বুদবুদ উঠছে। বিষয়টি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তবে এখন পর্যন্ত গ্যাস লিকের সঠিক কারণ জানা যায়নি।
উল্লেখিত জায়গাটি একটি ব্যস্ত সড়ক,প্রতিনিয়ত হাজার হাজার পথচারীর নিয়মিত পারাপার এর স্থান। প্রতিদিন শতশত যানবাহন এবং ভ্রাম্যমাণ হকারদের মিলনমেলা বসে জায়গাটিতে।গ্যাসের বুদবুদ এর ঠিক পাশেই রয়েছে আদর্শ মিষ্টান্ন ভান্ডার,ফুড ল্যান্ড,মিঠাই,টেস্টি-ট্রিট, ঘরোয়া রেষ্টুরেন্ট এর মতো জনহুল প্রতিষ্ঠান এমনকি রয়েছে টেকনো ও শাওমির মতো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান যা আল-জয়নাল ট্রেড সেন্টার এবং সান্ত্বনা মার্কেট এর সাথে সম্পৃক্ত,দুটি মার্কেট এর রয়েছে হাজারো কর্মচারী। যেকোনো দুর্ঘটনা বয়ে নিয়ে আসতে পারে হাজারো প্রাণহানি এবং মারাত্মক ক্ষতি।
পান দোকানী মিনা আক্তার জানান, গতকাল সন্ধ্যায় হুট করেই জ্বলন্ত কয়েল থেকে আমার দোকানের নিচে আগুন লেগে যায়।এখানে প্রতিদিন শতশত পথচারী সিগারেট জ্বালিয়ে থাকেন এবং জ্বলন্ত সিগারেট ফেলে থাকেন এমনভাবে গ্যাস লিকেজ হতে থাকলে যেকোনো সময়ে ঘটে যেতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।
ফুড ল্যান্ড এর সহকারী ম্যানেজার ফয়সাল আহমেদ জানান,বেশ কয়েকদিন ধরেই ড্রেন এবং সড়কে এমন গ্যাসের বুদবুদ দেখা যাচ্ছে,যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটার প্রবল আশংকা রয়েছে,এবং আমরা আমাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নিয়েই ঝুকির মধ্যে রয়েছি।
এ ব্যাপারে তিতাসের এক কর্মকর্তা (DGM) মামুনুর রশীদ জানান, সিটি কর্পোরেশন রাস্তা মেরামতসহ অন্যান্য কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় গ্যাস লাইনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলছে,আমরা তথ্য পেলে সে সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত লাইন গুলো মেরামত এর কাজ করছি,অতি শীঘ্রই চাষাড়ার ক্ষতিগ্রস্ত লাইনটি নিয়েও আমরা কাজ শুরু করবো
পথচারী এবং ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, আশপাশে অসংখ্য বিদ্যুতের তার ছড়িয়ে আছে এমন গ্যাস লিকেজ যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তারা দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন, যাতে সম্ভাব্য প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায়।