নারায়ণগঞ্জ । শুক্রবার
২৪শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যা জানালেন, “জুবায়েদকে” ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা

পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় টিউশনি করতে গিয়ে খুন হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হোসাইন। রবিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত শুরু হয়। পরে দুপুর ১২টার পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জুবায়েদের গলার ডান পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে, জুবায়েদ হত্যার ঘটনায় রোববার রাত ১১টা ২০ মিনিটে তার ছাত্রী বর্ষাকে রাজধানীর বংশালের নূর বক্স রোডের রৌশান ভিলা থেকে আটক করে পুলিশ।

বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ষা জানিয়েছেন— তার ও প্রেমিক মাহির রহমানের মধ্যে দীর্ঘ ৯ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মাহির বুরহান উদ্দিন কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং বর্ষা ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে। ছোটবেলা থেকেই তাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তবে সম্প্রতি সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়।ওসি আরও জানান, কিছুদিন আগে বর্ষা মাহিরকে জানায়, সে জুবায়েদকে পছন্দ করে। যদিও জুবায়েদ ও বর্ষার মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মাহির তার এক বন্ধুর সহায়তায় জুবায়েদকে হত্যা করে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদের সময় বর্ষার মধ্যে কোনো হতাশা বা কান্নার ছাপ দেখা যায়নি বলেও জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, নিহত জুবায়েদ হোসাইন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >