নতুনভাবে আবিষ্কৃত অ্যাস্টেরয়েড 2024 YR4 প্রথমে বিজ্ঞানীদের ভয় পাইয়ে দিয়েছিল—কারণ ধারণা করা হয়েছিল এটি পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে! পরে সেই আশঙ্কা কেটে গেলেও, এবার দেখা দিয়েছে নতুন বিপদ—২০৩২ সালের ডিসেম্বরে চাঁদে আঘাতের সম্ভাবনা এখনো ৪%।
শুনতে তেমন ভয়ঙ্কর না লাগলেও, এই সংঘর্ষের প্রভাব হতে পারে ভয়াবহ!
একটি অ্যাস্টেরয়েড যদি চাঁদে আঘাত করে, তাহলে তার ধ্বংসাবশেষ মহাকাশে ছড়িয়ে গিয়ে পৃথিবীর চারপাশে মাইক্রোমিটিওর ঝড় তৈরি করতে পারে — যা কয়েকদিনের জন্য স্যাটেলাইট, স্পেসক্রাফট, এমনকি ISS-এ থাকা নভোচারীদের জন্যও ভয়ানক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
এখন NASA এবং বিজ্ঞানীরা ভাবছে দুইটি উপায় নিয়ে:
1. Deflection — অর্থাৎ অ্যাস্টেরয়েডের পথ একটু ঘুরিয়ে দেওয়া, যাতে সেটা চাঁদে না লাগে।
2.Destruction — যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে একেবারে ধ্বংস করে দেওয়া।
এর জন্য দুইটি পদ্ধতি আলোচনায় আছে—
1. Kinetic Impact: ভারী স্পেসক্রাফট দিয়ে অ্যাস্টেরয়েডে সরাসরি আঘাত করা।
2.Nuclear Explosion: ১ মেগাটন পারমাণবিক বোমা অ্যাস্টেরয়েডের ওপরে বিস্ফোরণ ঘটানো, যাতে সেটি ভেঙে যায়।
বিজ্ঞান বলছে—এটা কাজ করতে পারে! কিন্তু ঝুঁকি আছে—এমন কিছু আমরা আগে কখনো করিনি। সর্বশেষ মহাকাশে পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল ১৯৬২ সালে Starfish Prime মিশনে।
২০২৮ সালে NASA একটি অনুসন্ধান মিশন পাঠাতে চায় অ্যাস্টেরয়েডটির ভর ও গঠন নির্ধারণ করতে। সেখানেই ঠিক হবে, চাঁদকে রক্ষা করতে মানুষ কি সত্যিই মহাকাশে প্রথমবারের মতো ‘নিউক্লিয়ার বোমা’ ছুঁড়বে কিনা!
Source:- “The Potential Danger to Satellites due to Ejecta from a 2032 Lunar Impact by Asteroid 2024 YR4” — Paul Wiegert et al., arXiv (2025)







