বাংলায় ‘বলির পাঠা’ শব্দের বেশ প্রচলন রয়েছে। অভিধানে এর মূল ভাবার্থ হলো, এমন একজন ব্যক্তি যার কাঁধে অন্যায় ভাবে অন্য কারো দোষের দায় চাপিয়ে দেয়া হয়। এমনই এক ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এসএম রানা। তিনি কোনো দোষ না করেও এখন দোষের ভাগি! কখনো আওয়ামী লীগ কিংবা অন্য কোনো রাজনীতিতে নাম না লেখালেও তাকেই বানানো হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সর্বেসর্বা। এখানেই শেষ নয়, বরং আওয়ামী ক্যাডার হিসেবে অপবাদ দিয়ে বানানো হচ্ছে আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীও। এমনকি এজাহারভুক্ত আসামী না হলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের একটি হত্যা মামলায় তাকে চার্জশীটভুক্ত আসামী করে দেয়া হয়েছে আদালতে পুলিশ প্রতিবেদনও। শুধু কী তাই? তার পরিচালিত মাদার প্রিন্ট নামক স্বনামধন্য শিল্প কারখানাটিও বন্ধ হয়ে গেছে এক ভয়ানক কালো থাবায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসবের নেপথ্যে রয়েছে একটি স্বার্থন্বেষী কুচক্রী মহল। এই চক্রের অন্যতম একজন যুবলীগ ক্যাডার ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সহ একাধিক হত্যা মামলায় জেল খাটা চিহ্নিত ভূমিদস্যু রিপন ওরফে সেমাই রিপন। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের একটি এলিট ক্লাবের বর্তমান কমিটির কতিপয় ব্যক্তিও রয়েছে এসএম রানাকে ঘায়েল করার মিশনে। এই চক্রটি ব্যবসায়ী এসএম রানাকে কেবল মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি বরং প্রতিনিয়তই তাকে নিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে সংবাদ প্রকাশের নামে অপপ্রচারও চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংবাদ প্রকাশের নামে ধারাবাহিক অপপ্রচার চালিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টিতে এনে ব্যবসায়ী রানাকে নিয়ে নেতিবাচক প্রভাব তৈরী করা হয়। ফলশ্রুতিতে রানাকে গ্রেফতার করে পিবিআই; এমন অভিযোগ রানা ও তার স্বজনদের। এসবের বিরুদ্ধে এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় তথা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এসএম রানা। গত ৯ সেপ্টেম্বর এসএম রানার পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে গিয়ে এই অভিযোগ জমা দেন ব্যবসায়ী এসএম রানার প্রতিনিধি।
জানা গেছে, মাদার প্রিন্ট নামক স্বনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক এসএম রানা ছোট বেলা থেকেই ছিলেন একজন ক্রীড়া প্রেমি। তিনি ছিলেন একজন ক্রিকেটার। নারায়ণগঞ্জ ক্রিকেট লীগের ডিভিশন পর্যায়ে খেলেছিলেন। সময়ের তাগিদে তিনি ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেট যেন তাকে ছাড়তে পারেনি। নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্বশীল পদে থেকে ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করেছেন বহু বছর। নারায়ণগঞ্জে অনুষ্ঠিত হওয়া জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটারদের সাথে বাৎসরিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টে নিয়মিতই অংশগ্রহণ করেন এসএম রানা। পাশাপাশি একজন দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে ক্রিকেট পাড়ায় বেশ সুনাম রয়েছে তার।
তার এলাকা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ডের শহীদনগরের বাসিন্দাদের সাথে কথা হলে তারা এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘এসএম রানা এবং তার পরিবারের সদস্যদের এলাকায় ব্যাপক সম্মান ও সুনাম রয়েছে। এসএম রানাও এলাকায় মানুষের যেকোনো সমস্যায় পাশে থাকেন। তিনি একাধারে সামাজিক, ব্যবসায়ীক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোতে সুনামের সাথে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। গত ৫ আগস্টের পূর্বে এসএম রানার বিরুদ্ধে কোনো থানাতে একটি সাধারণ ডায়েরী কিংবা আদালতে কোনো সাধারণ নালিশেরও খবর পাওয়া যায়নি। অথচ, ৫ আগস্টের পর তাকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বলে অপপ্রচার করা হচ্ছে।’
এলাকাবাসী আরও বলেন, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এসএম রানাকে আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাদের সাথে ছবি দিয়ে রাজনৈতিক সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগের শাসনামলের দীর্ঘ ১৭ বছরেও আমরা এসএম রানাকে আওয়ামী লীগ কিংবা অন্যকোনো দল বা সংগঠনের একটি মিটিং মিছিলেও আমরা দেখিনি। তিনি ছোট বেলা থেকে খেলাধুলা করতেন। পরবর্তীতে তিনি ব্যবসা বাণিজ্য এবং ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। এলাকায় তিনি পরোপকারী হিসেবেও অনেকের কাছে পরিচিত।’
এদিকে, এমন এক ব্যক্তিকে বানানো হয়েছে আওয়ামী লীগের বড় নেতা। অনেক ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের প্রকৃত নেতাদের আড়াল করে খবরের পাতায় দেয়া হচ্ছে এসএম রানার নাম ও ছবি। এমনকি চাজর্শীটেও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রথম সারি ও সুবিধাভোগী নেতাদের নাম উল্লেখ না করে এসএম রানাকে আসামী করা হয়েছে। এ নিয়ে বিতর্ক ও প্রশ্ন উঠেছে এসএম রানার স্বজন এবং এলাকার সাধারণ বাসিন্দাদের মাঝে।
রানাকে এভাবে বলির পাঠা বানানোর নেপথ্যে রয়েছে একজন মাস্টার মাইন্ড। সে ১৮নং ওয়ার্ডের যুবলীগ ক্যাডার ও বহু মামলার আসামী প্রতারক ও ভূমিদস্যু খেতাব পাওয়া রিপন ওরফে সেমাই রিপন। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাকে ঘায়েল করে জমি কব্জায় নিতে সেমাই রিপন এই ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে এই অভিযোগ দিয়েছেন এসএম রানা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শহীদনগর এলাকায় সেমাই রিপন দালালি করার মাধ্যমে এসএম রানাকে মোট ১১০ শতাংশের একটি জমি কিনতে সহায়তা করেছিলো। রিপনের হাত দিয়ে সেই জমির বায়নার টাকা এবং মূল্য পরিশোধ করা হয়েছিল। মামুনের সাথে আরেক পক্ষের জমি নিয়ে মামলা ছিলো। দুই পক্ষের কাছ থেকেই মিমাংসার মাধ্যমে এসএম রানা ওই জমি ক্রয় করে রেজিস্ট্রি বায়না সম্পন্ন করেন। মামুন এসএম রানার কাছে সেই জমির রেজিস্ট্রি বায়না করলে রিপন সেই দলিলে সনাক্তকারী থাকার পরও জমিটি এসএম রানাকে রেজিস্ট্রি করে না দিয়ে উল্টো তা জবর দখল চালায়।
গত ৫ আগস্টের পর রিপন বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতার ছায়ায় চলে গিয়ে ওই জমি দখলের জন্য মামুনের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে দফায় দফায় সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাট চালায়। এমনকি রানাকে হত্যার হুমকি ও তার কাছে মোটা অংকের চাঁদাও দাবি করে। এই ঘটনায় সেমাই রিপন ও মামুন সহ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় ভূমিদস্যুতা, লুটপাট, চাদাবাজী ও প্রতারণার আইনে মামলা দায়ের করেন এসএম রানা। এই মামলার পর থেকে আরও বেশি উঠে পড়ে লাগে রিপন ও তার সহযোগিরা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে দায়েরকৃত অভিযোগে এসএম রানা উল্লেখ করেন, এজাহারভূক্ত আসামী না হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র সন্দিগ্ধ আসামী হিসেবে ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রি. তারিখে দুবাই যাওয়ার প্রাক্কালে ঢাকা হযরত শাহ্ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে পিবিআই কর্তৃক আমাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এর পূর্বে আমাকে শুধুমাত্র ফতুল্লা থানায় একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আসামী করা হয়েছিল। তবে সেই মামলায় আমার সম্পৃক্ততার সামাণ্যতম প্রমাণ না থাকায় সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে আমাকে গ্রেফতারের জন্য কোনরূপ চেষ্টাও করা হয়নি। ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব গমন এবং ব্যবসায়িক কাজে থাইল্যান্ড এবং দুবাই ভ্রমণ করেছিলাম। একজন সাধারণ ব্যবসায়ি ও অরাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে ঢাকা বিমান বন্দর দিয়ে প্রতিবারই কোনরূপ হয়রানি ছাড়াই চার বার আমি নির্ভিঘ্নে যাতায়াত করেছি। আমি এক দিনের জন্যও পলাতক ছিলাম না। কিন্তু পাঁচ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দীর্ঘ প্রায় ৭ মাস পর আমাকে শুধুমাত্র সন্দিগ্ধ আসামী হিসেবে গ্রেফতার করে হয়রানী করার পাশাপাশি চার্জশীটভুক্ত আসামী করা হয়। এসবের পেছনে রয়েছে একটি চক্র।’
এসএম রানা উল্লেখ করেন, শহীদ নগর এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমানের ছেলে ফারুক হোসেন রিপন ওরফে সেমাই রিপন ও শহীদনগর মেম্বারগলি এলাকার বাসিন্দা মৃত ফকির চাঁন মোল্লার ছেলে মো. মামুনের সাথে আমার জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। তাদের যোগসাজসে সন্ত্রাসীরা আমার মালিকানাধীন সাব কবলা দলিল মূলে ক্রয়কৃত ৮০ শতাংশ জমি এবং মামুনের পিতার সাথে রেজিস্ট্রি বায়নাকৃত ৩০ শতাংশ প্রাচীর ঘেরা জমি জবর দখল করে নিজেদের নামে সাইন বোর্ড সাঁটিয়ে দেয়। এই জমি রিপন মধ্যস্থতা করে আমাকে রেজিস্ট্রি বায়না করে দিয়েছিলো। পরবর্তীতে সে নিজেই প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মামুনের সাথে মিলে জমিটি আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে উঠে পড়ে লাগে। জমিতে অবকঠামো উন্নয়ন কাজে রক্ষিত আনুমানিক ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যের ১৬ টন লোহার রড ও লোহার এঙ্গেল লুটপাট, বর্ণিত ভূমিতে রোপনকৃত প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ২০০ বনজ ও ফলজ গাছ কর্তনের মাধ্যমে নারকীয় তান্ডব ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। আমার কাছে চাঁদা দাবী করে। এই ঘটনায় আমি থানায় মামলা দায়ের করি। তখন তারা আমাকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা-শ্রমিক আন্দোলনে হত্যা মামলায় মিথ্যা আসামী হিসেবে ফাঁসানোর হুমকী দিয়েছিল। সেই ঘটনায় আমি নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় বিগত ১২/০৯/২০২৪ খ্রি. তারিখে মামলা নং- ৬(৯)২৪ দায়ের করি। অন্যদিকে ফারুক হোসেন রিপন ও একটি ক্লাবের কতিপয় ব্যক্তির যোগসাজসে স্থানীয় কুচক্রিমহল ও কথিত কতিপয় হলুদ সাংবাদিকদের মাধ্যমে ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে স্থানীয় পত্রিকায় নাম পরিচয়হীন সূত্রের উদ্ধৃতিতে একতরফা ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে সম্পূর্ণ অসত্য, ভূয়া, বানোয়াট, মানহানীকর ও কল্পনাপ্রসুত সংবাদ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ ও প্রচার করে যাচ্ছে। প্রকাশিত সংবাদ সমূহের প্রতিবাদে আমি বারবার প্রতিবাদ প্রেরণ করলেও হলুদ সাংবাদিকতার অংশ হিসেবে আমার কোনও প্রতিবাদ না ছাপিয়ে পত্রিকা কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকতার নীতিনৈতিকতা চরমভাবে লঙ্ঘন করেছেন।
একটি ঘটনার উদাহরণ টেনে এসএম রানা অভিযোগে বলেন, আমাকে জোরপূর্বক অপরাধী হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা অব্যাহত থাকাবস্থায় আমার চরিত্রে কালিমা লেপনের হীন উদ্দেশ্যে অনুমোদনহীন ‘আড়ালের চোখ’ টেলিভিশন নামের ইউটিউব চ্যানেলের প্রতিনিধি উম্মে রুমা সিমু নামে এক নারীকে বাদী সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় শ্লীলতাহানি ও চাঁবাজির মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিলো। অথচ, মামলায় উল্লেখিত ঘটনার সময়ে (২৩/০৯/২০২৪ তারিখে) পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে আমি সৌদি আরবে আবস্থান করছিলাম। পরে ওমরাহ ভিসা কপি, বিমান টিকেট কপি, মক্কা থেকে মদীনায় যাতায়াতের ট্রেন টিকেট কপিসহ যাবতীয় ডকুমেন্টস্ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে সরবরাহ করায় যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে তিনি মামলা রেকর্ড করা হতে বিরত থাকেন। তৎপরবর্তীতে উক্ত কথিত নারী সাংবাদিক উম্মে রুমা সিমু একই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের কারেন। বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক মামলা রেকর্ডের জন্য সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় প্রেরণ করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে মামলাটি মিথ্যা মর্মে প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। উক্ত বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিজ্ঞ পুলিশ সুপার সরাসরি সাক্ষাৎকার গ্রহণ পূর্বক মামলাটি মিথ্যা মর্মে চুড়ান্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করায় মামলাটি নিষ্পত্তি হয়। এভাবেই আমাকে একের পর পর এক মামলায় জড়াতে মড়িয়া হয়ে উঠে ফারুক হোসেন রিপন গং।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েও আমাকে হয়রানী করেছিলো ওই চক্রটি। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ঘুষের ৪২ লক্ষ টাকা উদ্ধার কান্ডে আমার কোনো সম্পৃক্ত না থাক সত্বেও আমাকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে অপরাধী হিসেবে অন্তুর্ভূক্ত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছিল। বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে আমাকে নিয়ে কাল্পনিক ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু দুদকের নারায়ণগঞ্জ জেলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কর্তৃক নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আমার জড়িত থাকার বিষয়ে প্রমাণিত না হওয়ায় আমাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। অথচ আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা ভিত্তিহীন মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করে বেড়িয়েছে ওই চক্রটি। আমাকে এলাকার ত্রাস, ভূমি দস্যু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার উপর গুলিবর্ষণ, অস্ত্রের মহড়া, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে কথিত অস্ত্রভান্ডার নিয়ন্ত্রন ও বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত থাকার মিথ্যা ও বানোয়াট খবর ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত করে আমাকে ঘায়েল করার সর্বাত্মক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমি বারবার লিখিতভাবে এসবের প্রতিবাদ জানিয়েছি। থানায় সাধারণ ডায়েরী পর্যন্ত করেছি। আমাকে অপরাধী প্রমাণের ষড়যন্ত্র করা হলেও বাস্তবিক অর্থে ইতিপূর্বে আমার নামে একটি সাধারণ ডায়েরী পর্যন্ত কখনো কোথাও হয়নি। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। ষড়যন্ত্র করে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটিও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমাকে ঘায়েল করে আমার জমি দখলে নেয়াই হলো ষড়যন্ত্রকারীদের মূল লক্ষ্য।







