ইংল্যান্ডের শক্তিশালী বোলিং লাইনআপ। আগের ম্যাচেই ৬৯ রানে অলআউট করেছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। বাংলাদেশের জন্য কঠিন পরীক্ষাই অপেক্ষা করছে, জানা ছিল আগেই। কঠিন পরীক্ষাই দিতে হলো।
বলতে গেলে একাই লড়লেন সোবহানা মোস্তারি। করলেন লড়াকু হাফসেঞ্চুরি। শেষদিকে এসে ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন রাবেয়া খান। এই দুজনের ব্যাটে চড়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রায় ৫০ ওভার খেললো বাংলাদেশ। ৪৯.৪ ওভারে অলআউট হলো ১৭৮ রানে। গৌহাটিতে নারী বিশ্বকাপের ম্যাচে জিততে হলে ইংলিশদের করতে হবে ১৭৯ রান।
গৌহাটিতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শারমিন আক্তারের ব্যাটে ভালো শুরু করেছিল বাংলাদেশ। যদিও আরেক ওপেনার রুবাইয়া হায়দার ৪ রানেই সাজঘরে ফেরত যান। তারপরও ওপেনিং জুটিতে ২৪ রান তোলে বাংলাদেশ।
এরপর নিগার সুলতানাও রুবাইয়ার মতো ব্যর্থতার পরিচয় দেন। রানের খাতা না খুলেই আউট হয়ে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক। ২৫ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে বসে দল।
সেই পরিস্থিতি থেকে সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন শারমিন। দেখেশুনে খেলছিলেন, কিন্তু ত্রিশের ঘরে এসে খেই হারিয়ে ফেলেন তিনিও।
৫২ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৩০ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন এই ওপেনার। সেট হয়ে আউট হন স্বর্ণা আক্তারও (১০)। ৮৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
সোবহানা একটা প্রান্ত ধরে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। রিতু মনি তাকে সঙ্গ দিতে গিয়ে অনেক বল খেলেন। কিন্তু দলীয় সংগ্রহ একশ পার হওয়ার পর রান বাড়াতে গিয়ে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে যান। পারেননি। ফেরেন ক্যাচ দিয়ে। ৩৬ বলে ৫ রানে থামে রিতুর লড়াই।
ফাহিমা খাতুন (৭), নাহিদা আক্তাররাও (১) দাঁড়াতে পারেননি। দলকে দেড়শ পার করে দেন সোবহানা। শেষ পর্যন্ত ১০৮ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৬০ রান করে থামেন তিনি।
শেষদিকে রাবেয়া খান ঝড় তুলে আরও একটু এগিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশকে। ২৭ বলে ৪৩ রানের ইনিংসে ৬টি চার আর ১টি ছক্কা হাঁকান রাবেয়া।
ইংল্যান্ডের সোফি একলেস্টন ২৪ রানে শিকার করেন ৩টি উইকেট।








