দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো স্বাভাবিক হয়নি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ অংশের যানজট পরিস্থিতি। সকাল থেকে তীব্র যানজট সৃষ্টির ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও যানবাহন চালকরা।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল সাড় ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা গেছে। হাইওয়ে পুলিশ ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার যাত্রামুড়া সংলগ্ন এলাকায় সকালে একটি মালবাহী কনটেইনার বিকল হওয়ায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সকাল থেকেই যানজট সৃষ্টি হয়েছে। দুপুরের পরে যানজট বেড়ে কাঁচপুর থেকে মৈকুলি পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত হয়। টানা ৯ ঘণ্টার তীব্র যানজটে নাকাল যাত্রী সাধারণ ও পরিবহন শ্রমিকরা।
এদিকে যানবাহনের দীর্ঘ সারিতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের। শত শত যাত্রীকে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। এতে জেলার অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লার যানবাহনের হাজারো মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
দেড় ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকা যাত্রী আলী হোসেন জানান, ভুলতা গাউছিয়া যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রাবাড়ী থেকে রওয়ানা দিয়ে তিনি কাঁচপুর থেকে যানজটে আটকা পড়েন। এরপর দেড় ঘণ্টায় তিনি রূপসী বাসস্ট্যান্ড এসেছেন।
লেগুনাচালক আবির হোসেন বলেন, সকাল থেকেই যানজট। সারাদিনে স্টাফ কোয়ার্টার থেকে গাউছিয়া মাত্র তিনটি ট্রিপ দিতে পেরেছি। তেল খরচ বাদ দিয়ে সংসারের বাজারের টাকাও আয় করতে পারিনি আজ।
বাসযাত্রী তৈয়ব আলী বলেন, সকালে যানজট ঠেলে ঢাকায় গিয়েছি। কাজ শেষে ফেরার পথে এখন তারাবো বিশ্বরোডে এসেই যানজটে আটকা পড়েছি। কখন বাড়ি যেতে পারবো কে জানে।
শিমড়াইল ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যাত্রামুড়া এলাকার কাছাকাছি সকাল ১০টার দিকে মালবাহী একটি বড় গাড়ি সড়কের প্রায় মাঝামাঝি অংশে বিকল হয়ে পড়ে। এতে উভয় পাশের গাড়ির স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত হয়। এতেই যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে বর্তমানে যানজট অনেকাংশে কমে গেছে। হাইওয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে আশা করছি দ্রুতই যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।








