২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ঘুস গ্রহণের অভিযোগে বেনাপোল কাস্টমস হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তারসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে ঘুসকাণ্ডে দুজনকে আটক করে যশোর আদালতে সোপর্দ করেন দুদক যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বেনাপোল কাস্টমস হাউজে ৬ নম্বর শুল্কায়ন গ্রুপের রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার ও তার সহযোগী হাসিবুর রহমান।
দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
দুদক জানায়, সোমবার বিকেলে কাস্টম হাউজে অভিযানে গিয়ে দুদক কর্মকর্তারা এক ব্যক্তিকে ঘুসের ২ লাখ ৭৬ হাজার টাকাসহ আটক করেন। আটক হাসিবুর রহমান স্থানীয়ভাবে ‘এনজিও সদস্য’ নামে পরিচিত। তিনি কাস্টমস হাউজের ৬ নম্বর শুল্কায়ন গ্রুপের রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তারের ঘুসের টাকা সংগ্রহকারী বলে দাবি করেছেন দুদক কর্মকর্তারা। হাসিবুর দুদকের কাছে এ টাকা রাজস্ব কর্মকর্তার স্বীকার করলেও দুদক ওই রাজস্ব কর্মকর্তাকে আটক করেনি যা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে হাসিবুর রহমান ওই টাকা বেনাপোল কাস্টম হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তারের ঘুসের টাকা বলে জানান। পরে তাকে নিয়ে শামীমা আক্তারের কক্ষে যান দুদক কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে শামীমা আক্তার স্বীকার করেন টাকাগুলো হাসিবুর তাকে দেওয়ার জন্য এনেছিলেন। সেখানে কাস্টমস কমিশনার খালেদ মোহাম্মাদ আবু হোসেনের সামনে শামীমা আক্তার ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান।
দুদক যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আল-আমীন বলেন, জব্দ টাকার নম্বর মিলিয়ে তালিকাবদ্ধ করতে রাত সাড়ে ৮টা বেজে যায়। এ সময় দুদক কর্মকর্তারা রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তারের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাকে কাস্টমস কমিশনারের জিম্মায় রেখে বেরিয়ে কাস্টম হাউজের প্রধান ফটকের সামনে রাখা গাড়িতে ওঠেন। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে অসদাচরণ এবং দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে শতাধিক লোক গাড়িটি আটকে রাখেন। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন কর্মকর্তারা। খবর পেয়ে প্রায় ৩০ মিনিট পর রাত সোয়া ৯টার দিকে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ কাস্টম হাউজে গিয়ে কর্মকর্তাদের উদ্ধার করে।








